শেষ পর্যন্ত মগজ চুরি !

MOGOJ

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ২৩ বছর বয়সী ডেভিড চার্লস চৌর্যবৃত্তিতে নয়া মাইলফলক স্থাপন করেছে। বুদ্ধিবৃত্তিক চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে অনেকে অন্যের লেখা সাহিত্য-শিল্পকর্ম, বৈজ্ঞানিক সূত্র বা এধরনের বিষয়বস্তু চুরি করে থাকে।
কিন্তু ডেভিড চুরি করেছে রীতিমতো মেধাস্বত্ব আবাসভূমিটাকেই- অর্থাৎ মস্তিষ্ক। এক হাসপাতালভিত্তিক যাদুঘরে রাখা বেশ কয়েকটি মগজ চুরি করে তিনি অনলাইন মার্কেটিংয়ে বিক্রিও করে দিয়েছিল।

তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হয়েছে তাকে। সম্প্রতি আদালত তাকে এক বছরের বন্দিত্বের শাস্তি দিয়েছেন। এছাড়া মুক্ত হওয়ার পরও দুই বছর তাকে থাকতে হবে নিয়মিত নজরদারির অধীনে।

ম্যারিয়ন কাউন্টি প্রসিকিউটরস অফিস জানায়, ধরা পড়ার পর চার্লস স্বীকার করে যে ইন্ডিয়ানা মেডিকেল হিস্টরি মিউজিয়ামে একাধিকবার হানা দিয়ে মানুষের মগজ ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তথা টিস্যুভর্তি জার চুরি করেছে সে।

ওই হাসপাতালটি ১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মস্তিষ্ক বিকৃতদের (উন্মাদ-পাগল) চিকিৎসার জন্য। পরে একে যাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। এখানে রাসায়নিকে সংরক্ষিত করে রাখা মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে মস্তিষ্ক প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চার্লসের অপকর্ম ধরা পড়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। ওই সময়ে সান ডিয়েগোর এক ব্যক্তি অলাইন কেনাকাটায় (ই-বে) মানুষের মস্তিষ্কের অংশ বিশেষ ভরা ৬ টি জার (কাঁচের পাত্র) কেনেন ৬০০ ডলারে। তিনি ওই যাদুঘরকেন্দ্রিক একটি অনলাইনভিত্তিক গবেষণা করছিলেন। তিনি দেখতে পান তার কেনা জারগুলো যাদুঘর থেকে চুরি যাওয়া জারগুলোর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তিনি বিষয়টি পুলিশে জানান।

অবশ্য মগজ চোরকে ধরা এত সহজ ছিল না। তবে সব অপরাধীর মতো সেও কিছু ক্লু রেখে গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। পুলিশ তদন্ত করে যাদুঘর থেকে চার্লসের রক্তাক্ত আঙুলের ছাপওয়ালা একটি কাগজ পায়। ওই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সূত্রেই তাকে পাকড়াও করা হয়। আদালত সূত্র জানায়, পরে মানব টিস্যুভর্তি আরও ৮০টি জার উদ্ধার করা হয়। চার্লস শুধু মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই নয়- কিছু যন্ত্রপাতি এবং ঐতিহাসিক জিনিসপত্রও চুরি করেছিল।

সূত্রঃ বিনোদন নিউজ

Leave a comment